ই ওয়েবসাইট তৈরির উদ্দেশ্য আরেচ্ছ উপজেলার শহরবাসী যারা করোনা ভাইরাস এর জরুরী কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালাশে স্থানীয় খাবার পণ্যসামগ্রীর দোকানের তালিকা খুঁজছেন।অন্যদিকে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোট ব্যবসায়ী যারা আপনার প্রয়োজনে আপনার বাসা পর্যন্ত আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে থাকবে ।

তবে আমাদের এই প্রচার এর লক্ষ্য আমাদের শহরের স্থানীয় মাঝারি এবং ছোট ব্যবসায়ীরা, যারা চলমান করোনা ভাইরাস এর কারনে অর্থনৈতিক সংকটে আছেন, তাঁদের সাহায্যে। তারা যেন সরকার প্রদত্ত নিয়ম মেনে হোম সার্ভিস দিয়ে গ্রাহকদের নিরাপদ বিতরণ পরিষেবা নিশ্চিত করতে পারে আর নিজেরাও নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখতে পারে। সেই জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ।

কোভিড ১৯- নামের পরিচিত ভাইরাসকে পরাজিত করাই আমাদের মূল লক্ষ । বিশেষত যারা ভাইরাস প্রতিরোধে অক্ষমতাশালী (বিভিন্ন কারনে অসুস্থ) বা বয়স্কপ্রাপ্ত তাদের ক্ষেত্রে যেকোন চলাচল সর্বাধিক সীমাবদ্ধতা প্রয়োজন। আর এই সীমাবদ্ধতাই সাধারণভাবে ভাইরাসটির সম্ভাব্য সংক্রামনের সুযোগ হ্রাস করা সম্ভব । যতটা সম্ভব শহরে ভ্রমণ হ্রাস করা, এমনকি কেনকাটা জন্য প্রাথমিক পণ্য যেমন খাদ্য এবং ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা রাখা উচিৎ।

এই প্রকল্পটি “বাংলাদেশ কালচারাল এসোসিয়েশন” এর উদ্দেগ্যে প্রচারিত।এই সংগঠনটি  একটি  অলাভজনক  স্বেচ্ছাসেবী  সামাজিক সংস্থা। আমরা দীর্ঘদিন আরচ্ছ উপজেলায়ে তথা সারা ইতালিতেই   “মানুষ” অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে আসছি , আরেজ্জো পৌরসভার অনুমতিতে এবং Daniele Gelliএর সহযোগিতায় এই পোর্টালটি তৈরি হয়ছে ।

এই পেইজটি যথাসম্ভব গ্রাহক ও ব্যবসায়ীকদের ব্যবহারের  জন্য। নগরবাসীর সুবিধায় এই পেইজটি বাংলা,ইতালিয়ান ও ইংলিশ ভাষায়ে  ট্রান্সলেট করা হয়েছে। বাংলা Tito Anisuzzaman , ইংলিশ Cesare Baccheschi e Giulia Perucchio,  এর সহযোগিতায়ে করা।এরা সবাই বাংলাদেশ কালচার সমিতির সদস্য ।

এই পেইজটি তৈরির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ফ্রী সার্ভিস যারা এর পিছনে কাজ করেছেন তারা সবাই ভলান্টারি সদস্য। এটা বাণিজ্যিক কোন উদ্দেশ্য নয় ।

এই পেইজটি ব্যাবহারে ব্যবসায়ীকরা সহজ উপায়ে নিজেরাই নিজেদের নাম ও ব্যবসা সেন্টার  নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে HOME পেইজে ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে।

যেকোন গ্রাহক রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে তাঁহার ইচ্ছা মতো ব্যাবসা কেন্দ্রের ঠিকানা, টেলিফোন নাম্বার ও প্রয়োজনীয় পন্য অর্ডার করে বাসায় পৌঁছে দিতে আবেদন করতে পারবে ।

ডিজিটাল যুগের প্রতিযোগিতায়ে হয়ত আমরা আমাদের ঐক্যতার  কিছু সাংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছি এই দুঃসময়ে আমরা আবার আমাদের মানবিক ঐক্য ফিরে পাতে চাই ।

আমাদের ঐক্যতার ও সলিডারিটি ফিরে পেতে আপনিও আসুন ।